লেখক মিলন পুরকাইত পশ্চিমবঙ্গের বারুইপুর পশ্চিম অঞ্চলের একটি ছোট গ্রাম জয়তলায় মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। লেখকের বর্তমান নিবাস বারুইপুর পর্ব অঞ্চলের শাসনের উত্তর প্রান্তে। পিতা বিশ্বনাথ পুরকাইত পেশায় ব্রিকলেয়ার। মাতা প্রমিলা পুরকাইত (মিদ্দ্যা)।
প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন শাসনের একটি ছোট প্রাথমিক বিদ্যালয়। পরবর্তীতে কল্যাণপুর উচ্চ বিদ্যালয় "কোটালপুর মধুসূদন হাই স্কুল" থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর কারিগরি বিভাগ অর্থাৎ বৃত্তিমূলক শিক্ষা লাভ করছেন।
অন্যদিকে তিনি যেমন ভাবে পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিক একইভাবে লেখালিখির সাথে যুক্ত আছেন অনেকদিন ধরেই। খুব কম বয়স থেকে লেখালেখি শুরু করেন। লিখেছেন ছড়া, অনুকবিতা-কবিতা, অনুগল্প- বড় গল্প, নাটক এবং সাইকো থ্রিলার কাহিনী। তার লেখা প্রকাশ হয়েছে বিভিন্ন ধরনের পত্রপত্রিকায় এবং বিভিন্ন সংকলনে। তার লেখা প্রথম গল্পের বই "কৃষ্ণাবতী" প্রকাশিত হয় ১লা মে, ২০২০ সালে, প্রকাশ হয়েছিল "কৃষ্ণপদ ঘোষ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট", "সাহিত্য সহবাস" প্রকাশনী থেকে। অনেক পত্রিকার সম্পাদক নাট্যকার, লেখক প্রাবন্ধিক ও গল্পকার চেনেন তাঁকে। প্রথম পুরস্কার লাভ করেন ১৬ই নভেম্বর ২০২০ সালে, বিশ্ব বাংলা সাহিত্য একাডেমীর পরিচালনায়, সাহিত্য কল্যাণী পুরস্কার লাভ করেন। আরও বিভিন্ন ধরনের পুরস্কার লাভ করেন তিনি।
তার লেখা বেশ কয়েকটি গল্প "এমনও হয়, তোমায় চাহি রে, আত্মতৃপ্তি, তা সে যাতই কালো হোক, কাউকে জিতিয়ে, ইন্টারোগেশন" ইত্যাদি।
তার লেখা বেশ কয়েকটি বই এবং সংকলন "সংগ্রাম, ধরিত্রীর কষ্ট, রক্ত শিহরণ, দিনযাপনের দিনলিপি, আগমনী এবং ম্যাচ ফিক্সিং।
তিনি যুক্ত রয়েছেন একাধিক পত্র পত্রিকার সঙ্গে। এখনো লিখে চলেছেন বিভিন্ন কবিতা, গল্প এবং সাইকো থ্রিলার কাহিনী। মাত্র ১৯ বছর বয়সে তিনি নিজেকে লেখা-লিখির জগতে এক আলকজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো উজ্জ্বল করে তুলেছেন। তিনি তাঁর বিখ্যাত কবিতা ও গল্পের মধ্যে পিতা-মাতার মতো ভগবান তুল্য মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তুলে ধরছেন সমাজের বিভিন্ন চরিত্র, জানিয়েছেন তাঁর লেখালেখির মাধ্যমে সমাজের নিম্ন শ্রেণীর দুঃখের আত্মনাদ।
লেখক পরিচিতি লিখেছেন- মৌসুমি পুরকাইত