ভারতবাসী একসময় ছিল পরাধীন, ব্রিটিশরা এই দেশে এসেছিল ব্যবসা বাণিজ্য করতে। কিন্তু এই দেশের ধন-সম্পদ দেখে তাঁরা এদেশেই থেকে গেলেন। কি করে এদেশের ধন-সম্পদ লুট করা যায়। এমন একটা সময় এলো দেশটাই তাদের অধীনে হয়ে গেল। এর পিছনে অনেক দেশদ্রোহীর হাত ছিল অবশ্যই।
ধীরে ধীরে সারা দেশেই শাসন চালাতে লাগলেন। তাদের গোলামী আর কত সইবে ভারতবাসী। তাদের বিরূদ্ধে লড়তে হবে, মাতৃভূমিকে মুক্ত করতে হবে। তাই গর্জে উঠেছিল তাদের বিরূদ্ধে মহাসংগ্রাম। নীল বিদ্রোহ থেকে শুরু করে সাঁওতাল বিদ্রোহ, মুন্ডা বিদ্রোহ আর ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহ।
এভাবেই কেটে গেছে প্রায় একশোশো বছর। এরপরেই শুরু হলো ‘অগ্নিযুগে।’ জেগে উঠেছে দেশের তরুণ যুবকেরা। পাঞ্জাব থেকে মহারাষ্ট্র, মহারাষ্ট্র থেকে বিহার, বিহার থেকে ওড়িশা, ওড়িশা থেকে আসাম আর আসাম থেকে সমগ্র বাংলা। বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠেছিল বিপ্লবী সংগঠন। তাদের মধ্যে একটি সংগঠন ছিল ‘ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি।’ "চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ" আমরা সকলেই জানি মাস্টারদা সূর্যসেনের কথা। তারই আহ্বানে সাড়া দিয়েছিল কত নাম জানা-নাজানা তরুণ। ১৮ই এপ্রিল ১৯৩০ সাল, ঘটেছিল চট্টগ্রামে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে মহাবিদ্রোহ, তার পর জালালাবাদ পাহাড়ের মরণপণ লড়াই। সেই লড়াইয়ে প্রাণ হারান ১২ জন তরতাজা তরুণ যুবক। তাদের জীবনী তুলে ধরা হয়েছে এই বইটির মাধ্যমে। জালালাবাদ পাহাড়ের যুদ্ধের কিছুদিন পর শুরু হয় কালারপোলের যুদ্ধ, সেখানে প্রাণ হারান ৪জন তরুণ বিপ্লবী। এই কালারপোল যুদ্ধের তরুণ বিপ্লবীদের জীবনী তুলে ধরা হয়েছে এই বইটির মাধ্যমে। তাই বইটির নাম দেওয়া হয়েছে - "জালালাবাদ থেকে কালারপোল।" আছে আরও বেশ কয়েকজন বিপ্লবীর জীবন কাহিনী। আশা-করি পাঠক-পাঠিকাদের বইটি পড়ে ভালো লাগবে ও জ্ঞানের পিপাসা মেটাবে।
Delete your review
Your review will be permanently removed from this book.
Delete your review
Your review will be permanently removed from this book.
Delete your review
Your review will be permanently removed from this book.