প্রায় দু’শো বছর আমরা ছিলাম পরাধীন, কিন্তু এই বর্তমান ভারতবর্ষ এমনিতেই স্বাধীনতা পায়নি। সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যার পর ভারতের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্য। ধীরে ধীরে প্রায় সারা ভারতবর্ষকে গ্রাস করে নেয় তারা। সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত হন একমাত্র মীরজাফরের জন্য। তেমনই এই দেশ দু’শো বছর পরাধীন থাকার কারণ হাজার মীরজাফরের জন্ম হওয়ায়। অগ্নিযুগ আসার পরই শুরু হয় বিপ্লবীদের নানা পরিকল্পনা। শুরু হয় ব্রিটিশদের অত্যাচার। বিশ্বাসঘাতক দেশদ্রোহীদের কাজকর্মে বিপ্লবীরা অসন্তুষ্ট। প্রফুল্ল চাকীকে ধরিয়ে দিলেন দেশদ্রোহী নন্দলাল ব্যানার্জি, আলিপুর বোমা মামলায় বিশ্বাসঘাতকতা করেন নরেন গোঁসাই। সরকারি উকিল আশুতোষ বিশ্বাস ও সামশুল আলমের বিপ্লবীদের প্রতি অন্যায় অবিচার সহ্য হয়নি বিপ্লবী মহলে। তাই দেশদ্রোহীদের আগে হত্যা করায় মূল উদ্দেশ্যে হয়ে দাঁড়ায় বিপ্লবীদের। সাথে করে অত্যাচারী ব্রিটিশ অফিসারদেরও লক্ষ করেন বিপ্লবীরা। তাই এই বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে বিশ্বাসঘাতক, দেশদ্রোহী ও অত্যাচারী ব্রিটিশ অফিসারদের হত্যাকাণ্ড। যে হত্যাকাণ্ডে বিপ্লবীরা সফল হয়েছিল। এই মাতৃভূমিকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে হাজারো তরুণ যুবক প্রাণ হারান। বাংলা থেকে সমগ্র ভারতবর্ষে শুরু হয় বিপ্লবীদের নতুন সূর্য উদয়ের তাণ্ডব। বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যাওয়া সেই সকল বীরদের কথা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে এই বইটির মাধ্যমে। যাঁদের বলিদানে আমরা স্বাধীন সূর্যোদয় দেখতে পাচ্ছি। অত্যাচারী ব্রিটিশ অফিসার, বিশ্বাসঘাতক ও দেশদ্রোহীদের হত্যাকাণ্ড নিয়েই বইটির নাম দেওয়া হয়েছে “ক্ষমা নেই দেশদ্রোহী।” আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানানো দরকার রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস।
Sorry we are currently not available in your region. Alternatively you can purchase from our partners
Sorry we are currently not available in your region. Alternatively you can purchase from our partners