কি আছে! আর কি নেই! এরকম তর্ক করতে করতে কত ছোটবেলার সন্ধা রাত পেরিয়ে এসেছি। ঠাকুরমা, দিদিমা এবং দিদি, দাদাদের কাছ থেকে শুনেছি গা ছমছম করা কত রকম ভয় জাগানো গল্প। ভারী ভাবতে ইচ্ছা করত সত্যি যদি তেনারা থাকেন তাহলে কি গাছের ডাল থেকে যেভাবে ব্রহ্মদত্তি তার বড় বড় লম্বা লম্বা পা ঝুলিয়ে বসে থাকে আর সুযোগ পেলে ভয় দেখায়, তেমনি কি তিনি সামনে এসে দাঁড়াবেন! নাকি তিন বর দিতে হাসিমুখে সামনে দাঁড়াবেন! সেসব ভাবতে ভাবতেই কখন শৈশব থেকে বেরিয়ে যৌবন এখন যৌবন থেকে প্রৌঢ়ত্যের দোরগোড়ায়। তবু তাদের অস্তিত্ব আমাদের কাছে ধরা পড়ে না, অথচ জোর গলায় বলতে পারি না যে তার অস্তিত্ব নেই।