ড়০ শ্রীকুমার মুখার্জি রচিত এই পুস্তকে আর্যদের আদিম উৎসের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে আর্যসভ্যতা ও আর্যকৃষ্টির উদ্ভবের কারণ, বিবর্তন ও তাঁর বৈশিষ্ট্যগুলিকে তুলে ধরার এক বস্তুনিষ্ঠ প্রয়াস করা হয়েছে।
এখানে দেখানো হয়েছে যে - কিভাবে এবং কোন বাস্তব কারণে আর্য সংস্কৃতি বিশ্বের সমস্থ প্রধান ধর্মমতের (হিন্দু ইসলাম ক্রিষ্টান যু বৌদ্ধ ইত্যাদি) উৎসমুখ হয়ে উঠেছিল ও তা থেকে কিভাবে আজকে এই আর্যকৃষ্টি বিশ্বে সাম্প্রদায়িক সমস্যার পূর্ণ সমাধান সূত্র হয়ে উঠছে। কিভাবে এই আর্যকৃষ্টি প্রাচীন সমস্থ বৃহৎ সভ্যতাগুলির সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল এবং এই পরিপ্রেক্ষিতে আর্য-ভারতীয় সভ্যতার উদ্ভবে আর্যকৃষ্টি মানুষের দৈনিক আচরণের এক আবশ্যিক ক্রিয়া হিসাবে কি ঐতিহাসিক প্রভাব ফেলেছিল তাতে দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে।
সেই ইন্দোআর্য কৃষ্টি থেকে উদ্ভূত তত্ব (ইন্দোআর্য জীবনবৃদ্ধিবাদ) ভারত তথা আধুনিক সভ্যতায় মানবসম্পদ সংরক্ষণে ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে কিভাবে সক্রিয় অবদান রাখার উপাদানে সমৃদ্ধ, তার উপরেও আলোকপাত করা হয়েছে। এখানে প্রাচীন আর্যভারতীয় সভ্যতা বিশ্বশিক্ষার প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠার আলোকে - যীশুখৃষ্টের জীবনের ভারত সংযোগের অজানা রহস্যের বেশ কিছু তথ্য সংক্ষেপে তুলে ধরার এক বিশেষ চেষ্টা করা হয়েছে।
তাই বিশ্বাস করা যায় যে, এই পুস্তক পাঠে পাঠকবৃন্দ আত্মপরিচয়ের নতুন আলোকে এক বিশালত্বের ভাবনায় সমৃদ্ধ হবেন এবং প্রাপ্ত আর্যকৃষ্টি-তত্বের মাধ্যমে আত্মিক, সামাজিক ও আর্ন্তজাতিক বিবর্তনের এক বস্তুনিষ্ঠ পথসন্ধান পাবেন।