দুটো ছোট উপন্যাস নিয়ে লেখা বইটার নাম ‘সামান্য মেয়ে’। সাহিত্যের ভাষায় ছোট এই উপন্যাস যুগলকে উপন্যাসিকা বলাই ভালো। প্রথম উপন্যাসের নাম ধরে বইটার নামকরণ। বাংলার প্রান্তিক গ্রাম ও আধুনিক শহরের দুটি মেয়েকে নিয়ে লেখা ছোট্ট দুটো উপন্যাস। ছোট দুটো উপন্যাসে দুটি মেয়ে বুড়ি আর ঊষা। দুজন মিলে একটি বর্ণাঢ্য সংগ্রামী চরিত্র। তাঁরা সামান্য হয়েও জীবনযুদ্ধে নিজেদের একাত্ম করে হয়ে উঠেছেন অসামান্য। একজন ভারতের প্রান্তিক এক গ্রামের দারিদ্র্য পীড়িত পরিবারের কন্যা যাকে পেটের তাগিদে জন্মের পর থেকেই জীবনে এক অসম লড়াইয়ে যুক্ত হতে হয়। ত্যাগ করতে হয় নিজের ভালোবাসার মানুষকে যিনি তাঁকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন এক নতুন স্বচ্ছল জীবনের। শুধু জীবিকার জন্য নয় সেই সমাজের মুক্তির জন্য অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে লড়াইকেই জীবনের ব্রত বলে গ্রহণ করেন। আরেকজন ঊষা মারা গেছেন আদিবাসীদের সঙ্গে জীবন যাপনের মধ্যে দিয়ে। তাদের ভালো মন্দে নিজেকে উৎসর্গ করে। দুজনের এই লড়াই প্রজন্ম পরম্পরায় জীবন যুদ্ধের ইতিকথা। দুজনের মধ্যে রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও তাঁরা আত্মার আত্মীয়। একই সূত্রে বাঁধা। তাই একই উপন্যাসে দুজনের উপস্থিতি। দুজনেই যেন একই ব্যক্তিত্ব।