বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "দেবতার গ্রাস" বিখ্যাত কবিতার অবলম্বনে "সাগর সঙ্গমে বিপর্যয়" এই গল্প শংকর হালদার শৈলবালা লিখেছেন । "সাগর সঙ্গমে বিপর্যয়" ঐতিহাসিক, তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মের কুসংস্কারের মাধ্যমে কিশোর বলির ছোট উপন্যাস । ধর্মীয় বিভিন্ন কুসংস্কার সহ ধর্মীয় বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা । এছাড়াও বিভিন্ন নদ নদীর ঐতিহাসিক দিক সহ সৃষ্টির ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে । যেমন অজয় নদ, ভাগীরথী-গঙ্গা ও সমুদ্রের সৃষ্টির বৈজ্ঞানিক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে । সমুদ্রের জলের উপকারিতা সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে আলোচনা করেছেন । গঙ্গা সঙ্গম গঙ্গাসাগর তীর্থ স্থানের ইতিহাস ও বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে । প্রাচীন যুগে গঙ্গাসাগর আসতে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো কেন তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে ।
এই গল্পের প্রধান চরিত্র বালক কৃষ্ণ অর্থাৎ কেষ্ট এবং রাম ভট্টাচার্য । সামুদ্রিক ঝড়ের কারণে বিপর্যয় ঘটে ও কেষ্ট কে পাপি বলা হয় । পুণ্য অর্জনকারী তীর্থযাত্রী গণ মায়ের কোল থেকে কেষ্ট কে জোর করে সমুদ্রের জলে ফেলে দেয় । সমুদ্রের মৎস্যজীবীদের উদারতার পরিচয় দেখানো হয়েছে ।
দ্বিতীয় গল্প "আদিবাসী বিদ্রোহী নারী" । বিশিষ্ট লেখক দেবব্রত সিংহ রচিত 'তেজ' কবিতার অবলম্বনে এই গল্প শংকর হালদার শৈলবালা লিখেছেন ।
মু জামবনির কুঁইরি পাড়ার শিবু কঁইরির বিটি সাঁঝলি বটে ।
এই বিখ্যাত কবিতা অবলম্বনে সামাজিক, গবেষণা মূলক গল্প । সমাজের জাতপাতের বিরুদ্ধে লড়াই ও শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন মূলক গল্প । আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে । শংকর হালদার শৈলবালার কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এই পান্ডুলিপি তৈরি করেছেন । শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দের কাছে প্রার্থনা করি তিনি সফলতা অর্জন করুন ।