Experience reading like never before
Sign in to continue reading.
Discover and read thousands of books from independent authors across India
Visit the bookstore"It was a wonderful experience interacting with you and appreciate the way you have planned and executed the whole publication process within the agreed timelines.”
Subrat SaurabhAuthor of Kuch Woh Palআগামী যুগের পৃথিবীর জন্য পরমেশের স্বপ্ন - সীমান্তহীন বিশ্বের বিবাহহীন সমাজ, যেখানে নাগরিকেরা শিখবে কিভাবে প্রকৃতির মতো সহজে কম শক্তির খরচে উৎপাদন করা বা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব; এতে জীবাশ্ম জ্বালানির অপচয় কমবে, জনসংখ্যা-বৃদ্ধি নিRead More...
আগামী যুগের পৃথিবীর জন্য পরমেশের স্বপ্ন - সীমান্তহীন বিশ্বের বিবাহহীন সমাজ, যেখানে নাগরিকেরা শিখবে কিভাবে প্রকৃতির মতো সহজে কম শক্তির খরচে উৎপাদন করা বা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব; এতে জীবাশ্ম জ্বালানির অপচয় কমবে, জনসংখ্যা-বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রিত হবে এবং পৃথিবীর তাপমাত্রা বজায় থাকবে।
হায়ার সেকেণ্ডারী পরীক্ষায় প্রথম কুড়িজনের মধ্যে থাকায়, পরমেশ ন্যাশনাল স্কলারশিপ পেয়েছিল; এর পরে ইঞ্জিনীয়ারিংএর ফাইন্যালে দ্বিতীয় স্থান। আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় বেতার নাটক প্রতিযোগিতায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের টিমে অভিনয় ক’রে- একবার রানার্স আপ, আর একবার চ্যাম্পিয়ন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনীয়ারিং পত্রিকা ও সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদনা ক’ছে। ‘বসুমতী’র পূজা সংখ্যায় লিখেছে স্কুল জীবনে।
গ্র্যাজুয়েট ইঞ্জিনীয়ার হ’য়ে কর্মজীবনের শুরু হুগলী ডকে, হাওড়ার বার্ন কোম্পানীতে। এরপরে পরমেশ ছিল জামসেদপুরে ইণ্ডিয়ান টিউব কোম্পানীর ফোরম্যান, স্টীল টিউবের কোল্ড-ড্রয়িং-এর বিশেষজ্ঞ; এখানেই জেভিয়ার ইনস্টিটিউটে পার্ট-টাইম কোর্সে পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন বিজনেস ম্যানেজমেন্ট। পরমেশ পেয়েছিলো ইণ্ডিয়ান টিউব কোম্পানীকে কম্পিউটারাইজ করার দায়িত্ব; তারপরে হিন্দুস্থান অর্গ্যানিক কেমিক্যাল্সকে কম্পিউটারাইজ করার ভূমিকায়। এর পরে পরমেশ কাজ করে কম্পিউটার-কনসাল্টেন্সী প্রতিষ্ঠান- কম্পিউট্রনিক্স ইণ্ডিয়া, হিন্দুস্তান কম্পিউটার্স লিমিটেড আর টাটা কন্সাল্টেন্সী সার্ভিসেসে।
কম্পিউটারে পারদর্শিতার জন্যে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হবার সুযোগ পায়। অস্ট্রেলিয়াতে পার্ট-টাইম পড়াশোনা চালিয়ে পরমেশ মাস্টার অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং মাস্টার অফ কম্পিউটিং সায়েন্সের ডিগ্রি অর্জন করে। এর পরে বহু কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনের সমন্বয়ের উপর গবেষণা ক’রে ও কম্পিউটিং সায়েন্সে পি-এইচ-ডি উপাধিতে ভূষিত হয়। ব্যাঙ্ক অ্যাপ্লিকেশনগুলোর সম্মিলিত ভাবে কাজ করার পদ্ধতির প্রবর্তন করেছিল পরমেশ; সম্ভবতঃ এই কাজই তাকে পরবর্তীকালে অনুপ্রাণিত ক’রেছিল সারা পৃথিবীর সবদেশ মিলিয়ে এক বিরাট দেশ – বিরাট পরিবারের স্থাপনায়।
পরমেশ এক দূরদর্শী দার্শনিক; ও স্বপ্ন দেখে কী ক’রে এই পৃথিবীর প্রতিটি নাগরিককে আরও বেশী সুযোগ দেওয়া যায় – পৃথিবীর যে কোনো দেশে থেকে ভালভাবে বাঁচার, এবং কাজ করার জন্যে। ও মূলতঃ জীবিকা নির্বাহের জন্য কোর ব্যাঙ্কিং আর্কিটেক্ট এবং বিজনেস ইন্টেলিজেন্স পরামর্শদাতা হিসাবে, পৃথিবীর নানা দেশে কাজ ক’রেছে; ওয়ারশ-এর ব্যাঙ্কে মাল্টি-চ্যানেল ব্যাঙ্কিং চালু করার জন্যে সাম্মানিক পুরস্কার পেয়েছে। ওয়ারশ-এর পরে পরমেশ ব্যাঙ্কক, ম্যানিলা, জাকার্ত্তা, গ্ল্যাসগো, কুয়ালালামপুরে দী্ঘদিনের প্রোজেক্টে কাজ ক’রেছে, ও বিভিন্ন দেশের মানুষের কথা শুনেছে, সহযোগিতা ক’রেছে।
পরমেশের সম্প্রতি প্রকাশিত গ্রন্থগুলি:-
1. Irreparable (May2022),
2. मिट गई सीमारेखा (May2022),
3. নিঃশব্দে নিরুদ্দেশ (Feb 2022),
4. Marriage Kills (August2021),
5. Lives Matter (March2021),
6. অঞ্জু মাসী (February2021)
Read Less...Achievements
প্রত্যেক ইন্দ্রিয় দ্বারা যদি তাদের নির্ধারিত কার্য্য করানো যায় তবে প্রথমে আসে সংযম। তারপর আসে অনাসক্তি। যখন এই সমস্ত আমলারা নির্বিঘ্নে নির্ধারিত কাজ সম্পন্ন করবে তখনই আমরা
প্রত্যেক ইন্দ্রিয় দ্বারা যদি তাদের নির্ধারিত কার্য্য করানো যায় তবে প্রথমে আসে সংযম। তারপর আসে অনাসক্তি। যখন এই সমস্ত আমলারা নির্বিঘ্নে নির্ধারিত কাজ সম্পন্ন করবে তখনই আমরা বুঝতে পারব ঈক্ষার অস্তিত্ব ও ক্ষমতা। যা আমরা সমস্ত জীবন দিয়েও সম্পন্ন করতে পারি না তা সংঘটিত হতে পারে চোখের পলকে ঈক্ষার বলে। তখনই এই সত্তার রাজ্য শাসিত হবে প্রকৃত উপায়ে। বহির্জগতের প্রতিক্রিয়ায় আমরা সংকুচিত যেমন হব না, উচ্ছ্বসিতও তেমন হব না। খুব শান্ত ভাবে গ্রহণ করব বহিরাগত যত ভাবসম্ভার।
When the whole world is vocal against the inequalities of rights and responsibilities between BLACK and WHITE, let us consider other boundaries- between the rich and the poor, the men and the women, the married and the unmarried, the locals and the foreigners, the educated and the illiterate, upper and lower castes, the young and the old. People on either side of these boundaries need appropriate rights and responsibilities to earn their living, and enjoy live
When the whole world is vocal against the inequalities of rights and responsibilities between BLACK and WHITE, let us consider other boundaries- between the rich and the poor, the men and the women, the married and the unmarried, the locals and the foreigners, the educated and the illiterate, upper and lower castes, the young and the old. People on either side of these boundaries need appropriate rights and responsibilities to earn their living, and enjoy lives. Not only Black Lives Matter but Every Life Matters.
The novel starts with a stealthy escape of Hye-jin, a tired soldier of life, from her residence. Only after a few days, husband Jie-won will celebrate their Fiftieth Anniversary, when Hye-jin will be forced to mimic love.
Hye-jin has realised that, if she continues to live with Jie-won; she would never be allowed to share her sorrows with him and eventually she would have to look for a way to end her life.
After Hye-jin’s escape, we would look back on various dates of her life, what happened and how the course of her life changed. We will review her fight against boundaries– against the borders between countries, boundaries between married families, between the married and the unmarried.
Hye-jin dreams, each person has rights to live in any country and earn the living there, “where the world has not been broken up into fragments by narrow domestic walls”.
When the whole world is vocal against the inequalities of rights and responsibilities between BLACK and WHITE, let us consider other boundaries- between the rich and the poor, the men and the women, the married and the unmarried, the locals and the foreigners, the educated and the illiterate, upper and lower castes, the young and the old. People on either side of these boundaries need appropriate rights and responsibilities to earn their living, and enjoy live
When the whole world is vocal against the inequalities of rights and responsibilities between BLACK and WHITE, let us consider other boundaries- between the rich and the poor, the men and the women, the married and the unmarried, the locals and the foreigners, the educated and the illiterate, upper and lower castes, the young and the old. People on either side of these boundaries need appropriate rights and responsibilities to earn their living, and enjoy lives. Not only Black Lives Matter but Every Life Matters.
The novel starts with a stealthy escape of Preksha, a tired soldier of life, from her residence. Only after a few days, husband Prathagata will celebrate their Fiftieth Anniversary, when Preksha will be forced to mimic love.
Preksha has realised that, if she continues to live with Prathagata; she would never be allowed to share her sorrows with him and eventually she would have to look for a way to end her life.
After Preksha’s escape, we would look back on various dates of her life, what happened and how the course of her life changed. We will review her fight against boundaries– against the borders between countries, boundaries between married families, between the married and the unmarried.
Preksha dreams, each person has rights to live in any country and earn the living there, “where the world has not been broken up into fragments by narrow domestic walls”.
বেন্টোলা বীচে বেহুলা-লখিন্দর সমুদ্রের দিকে অনেকটা গিয়েছিল। দীপ্তি সাঁতার জানেনা ব’লে তীরে বসেছিল ওদের ফেরার অপেক্ষায়।
কুড়ি মিনিট পরে, বিধ্বস্ত লখিন্দর হাঁপাতে হাঁপাতে
বেন্টোলা বীচে বেহুলা-লখিন্দর সমুদ্রের দিকে অনেকটা গিয়েছিল। দীপ্তি সাঁতার জানেনা ব’লে তীরে বসেছিল ওদের ফেরার অপেক্ষায়।
কুড়ি মিনিট পরে, বিধ্বস্ত লখিন্দর হাঁপাতে হাঁপাতে ফিরে এলো- ’বেহুলাকে বাঁচাতে পারিনি, নীচের ঢেউয়ের উল্টো টানে ওকে নিয়ে গেছে’।
লখিন্দর সিংহলী ভাষায় বোঝালো লাইফগার্ডদের,- কী ঘটেছে তার বর্ণনা দিয়ে। তারা প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চেষ্টা ক’রেও বেহুলার দেহের কোনো সন্ধান পেলো না।
লাইফগার্ডরা ব’ললো. ‘এই মামলায় একটি রিপোর্ট লিখতে হবে; নামগুলো বলুন’।
একটু দ্বিধা ক’রে, লখিন্দর ব’ললো, ’যাকে, আমরা সাগরে হারিয়েছি, তার নাম সানদুন। কলম্বো থেকে ক্যান্ডি যাওয়ার সময় ট্রেনে প্রথম দেখা ওর সাথে, তখন থেকে ও আত্মীয়ের মতো হ’য়ে গেছে। কিন্তু আমরা ওর ঠিকানা জানি না।’
তারপরে লখিন্দর নিজের পরিচয় দিয়েছিল, আর দীপ্তিকে ওর স্ত্রী বেহুলা হিসাবে পরিচয় দিয়েছিল।
লাইফগার্ডরা ওখান থেকে চলে গেল। দীপ্তি লখিন্দরকে জিজ্ঞেস ক’রলো, ’এর পরে কী হবে?’
লখিন্দর কেঁদে ব’লেছিল, ’জানিনা আমি! তুমি আমার বেহুলা হবে? বাঁচাবে আমাকে বিপত্নীক হওয়া থেকে?’
দীপ্তি কখনও ধারণাও ক’রতে পারেনি যে এই দুর্দান্ত শক্তিশালী খেলোয়াড়টির মন এত স্পর্শকাতর। লখিন্দরের ঠোঁটে চুমু খেলো দীপ্তি; তারপর পিছিয়ে এসে ব’ললো, ’এ আমরা কি ক’রছি, লখিন্দর? বেহুলা এইমাত্র চলে গেছে; কিংবা হয়তো এখনও যায়নি!’
লখিন্দর ব’ললো, ‘আর কোনো পাঁচিল নেই আমাদের দুজনের মধ্যে। বাড়ীতে একটা টেবিল-টেনিস বোর্ড লাগাবো; প্রতিদিন খেলবো দুজনে।’
লখিন্দর আর দীপ্তি ক্যান্ডিতে ফিরে এলো। শুরু হ’লো দীপ্তির নতুন জীবন। এখন থেকে সারা জীবন, ওকে বেঁচে থাকতে হবে শ্রীলঙ্কার নাগরিক হ’য়ে, লখিন্দরের প্রিয়তমা স্ত্রী বেহুলা হ’য়ে, যাতে লখিন্দরকে বিপত্নীক হ’তে না হয়।
When the whole world is vocal against the inequalities of rights and responsibilities between BLACK and WHITE, let us consider other boundaries- between the rich and the poor, the men and the women, the married and the unmarried, the locals and the foreigners, the educated and the illiterate, upper and lower castes, the young and the old. People on either side of these boundaries need appropriate rights and responsibilities to earn their living, and enjoy live
When the whole world is vocal against the inequalities of rights and responsibilities between BLACK and WHITE, let us consider other boundaries- between the rich and the poor, the men and the women, the married and the unmarried, the locals and the foreigners, the educated and the illiterate, upper and lower castes, the young and the old. People on either side of these boundaries need appropriate rights and responsibilities to earn their living, and enjoy lives. Not only Black Lives Matter but Every Life Matters.
The novel starts with a stealthy escape of Kireeti, a tired soldier of life, from his residence. Only after a few days, wife Droupadi will celebrate their Fiftieth Anniversary, when Kireeti will be forced to mimic love.
Kireeti has realised that, if he continues to live with Droupadi; he would never be allowed to share his sorrows with her and eventually he would have to look for a way to end his life.
After Kireeti’s escape, we would look back on various dates of his life, what happened and how the course of his life changed. We will review his fight against boundaries– against the borders between countries, boundaries between married families, the married and the unmarried.
Kireeti dreams, each person has rights to live in any country and earn the living there, “where the world has not been broken up into fragments by narrow domestic walls”.
নির্বিবাহ জগৎ হোক একটি বিরাট পরিবার, যেখানে বিবাহিতেরা অবিবাহিতদের সঙ্গে সমান সুযোগ সুবিধা পাবে । স্বামী বা স্ত্রীকে প্রবঞ্চিত ক’রে ব্যক্তিগত লাভ করার সুযোগ থাকবে না।
ব
নির্বিবাহ জগৎ হোক একটি বিরাট পরিবার, যেখানে বিবাহিতেরা অবিবাহিতদের সঙ্গে সমান সুযোগ সুবিধা পাবে । স্বামী বা স্ত্রীকে প্রবঞ্চিত ক’রে ব্যক্তিগত লাভ করার সুযোগ থাকবে না।
বিবাহের প্রয়োজন ২০৫০-এর পরে একেবারেই অন্তর্হিত হবে। গর্ভনিরোধক পিলের উদ্ভাবক Carl Djerassi-এর জীবনদর্শন অনুযায়ী, ২০৫০ সালের পরে নারী আর পুরুষে মিলে সেক্স বা রতিক্রিয়া করবে শুধু নির্ম্মল মজার জন্যে, সন্তানকে জন্ম দেওয়ার আশা বা দুশ্চিন্তা কিছুই থাকবে না। গর্ভনিরোধক পিলের আর দরকার থাকবে না, কারণ নারীরা তাদের ডিম অর্থাৎ eggs আর পুরুষেরা তাদের শুক্রাণু বা শুক্রকীট অর্থাৎ sperm ঠাণ্ডাঘরে জমিয়ে রেখে নির্বীজন করবে নিজেদের, অর্থাৎ বন্ধ্যা হয়ে যাবে। কৃত্রিম ডিমও তৈরী হবে হয়তো ২০৩০এর আগেই। ভ্রূণহত্যার আর প্রয়োজন হবে না, কারণ বিনা পরিকল্পনায় সন্তানের ভ্রূণ সৃষ্টি করবে না কেউ। সন্তান উৎপাদন ক’রতে সক্ষম অনেক নারী তাদের তরুণীজীবনের ডিম [eggs] ঠাণ্ডাঘরে জমিয়ে রাখবে একটু বড় বয়সে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে IVF-এর মাধ্যমে অন্তঃসত্ত্বা হবার জন্যে। বিশ বছরের তরুণীরা এই পন্থা নিয়ে নিশ্চিন্ত হবে যে বয়স হ’য়ে ডিম নিঃশেষ হবার আগে, তাদের জীবনসঙ্গী বেছে নিতে হবে না; কর্ম্মজীবনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার পরে সন্তানকে জন্ম দিয়ে লালনপালন করার সুযোগ পাবে। সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য নারী ও পুরুষের রতিক্রিয়ার প্রয়োজন হবে না।
A father gets up from the bed and walks to the toilet. He stands shocked and devastated at the entrance of the toilet – his daughter has hanged herself from a ceiling kook, her body is suspended by the neck and is not supported by anything. The father stands dumbfounded, with his shoulders he tries to support the daughter’s feet, but no response is received from her still body; her feet are cold and hard. The father doesn’t know what to do ne
A father gets up from the bed and walks to the toilet. He stands shocked and devastated at the entrance of the toilet – his daughter has hanged herself from a ceiling kook, her body is suspended by the neck and is not supported by anything. The father stands dumbfounded, with his shoulders he tries to support the daughter’s feet, but no response is received from her still body; her feet are cold and hard. The father doesn’t know what to do next; he rushes out of the house and calls his neighbours for help, for getting the ambulance and the police.
Why has she hanged herself to die? What has killed all her inspiration to live? Why have the age-old traditions have compelled her to marry? Why is the marriage so important in her life?
History tells us, at one time slave trading was considered no different from trading other goods and services. Just as bulls and cows, horses and mares were traded between people; men and women could also be captured and traded. In the early ages of civilisation, it was customary to invade neighbouring countries and capture prisoners of both sex and of various ages and use them as slaves.
If we look at the tradition of marriages, it was started as a way of getting woman slaves, not just by kidnapping and capturing from the road but by negotiating with the parents of the young woman. The man getting the woman slave for life used to be termed as the groom and the woman slave used to be termed as the bride.
বইটির নাম ‘লাইভস্ ম্যাটার’, এখন পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ মন-প্রাণ দিয়ে জানে, , হাড়ে হাড়ে টের পায় Black Lives Matter – অন্য কোনো ভাষায় এর অনুবাদ করা নিস্প্রয়োজন।
এ প্রতিবাদ, এ শ্লোগান মূ
বইটির নাম ‘লাইভস্ ম্যাটার’, এখন পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ মন-প্রাণ দিয়ে জানে, , হাড়ে হাড়ে টের পায় Black Lives Matter – অন্য কোনো ভাষায় এর অনুবাদ করা নিস্প্রয়োজন।
এ প্রতিবাদ, এ শ্লোগান মূলতঃ কালো মানুষদের উপর জোর ক’রে চাপিয়ে দেওয়া নিয়মগুলোর প্রতিবাদ, সে অন্যায় নিয়মগুলো ভাঙার জন্যে মারণাত্মক শাস্তি দেওয়ার প্রতিবাদ, নিয়ম না ভাঙলেও জোর ক’রে নিয়ম ভাঙার স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্যে যে অত্যাচার তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, সন্দেহভাজনের ঘাড়ে হাঁটুর চাপ দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ ক’রে মারার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। প্রতিবাদের মূল কারণ সাদা ও কালোর মধ্যে মানুষের আঁকা সীমারেখা এবং এই সীমারেখার দুপাশের মানুষদের অসমান অধিকার ও দায়িত্ব পালনের নিয়ম, অসমান শাস্তি - অধিকারের অপপ্রয়োগের, অসমান শাস্তি - দায়িত্ব পালনে গাফিলতির।
যখন সারা পৃথিবী সোচ্চার সীমারেখার দুপাশের মানুষদের মধ্যে অসমান সুবিধা ও শাস্তির বিরুদ্ধে, তখন দেখা দরকার শুধু কালো-সাদার মধ্যে সীমারেখা নয়, আরও কত রকম সীমারেখা মানুষের জীবনে,- ধনী-দরিদ্র, নারী-পুরুষ, বিবাহিত-অবিবাহিত, দেশি-বিদেশি, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, জাত-পাত, তারুণ্য-বার্ধক্য...। প্রতিটি সীমারেখার দুপাশের মানুষদের সমান সুযোগ সুবিধা চাই – বাঁচার জন্যে, থাকা-খাওয়া পরার জন্যে, জীবনকে উপভোগ করার জন্যে। শুধুমাত্র Black Lives Matter নয়, Every Life Matters.
‘লাইভস্ ম্যাটার’ উপন্যাসের শুরুতে, জীবনযুদ্ধে ক্লান্ত কিরীটি পালাতে চায় তার বাড়ী থেকে; কিরীটির ধারণা – এ বাড়ী নয় - এক কারাগার। এই কারাগারে কয়েদ হবার পর পঞ্চাশ বছর হ’তে চলেছে – সুভদ্রার সঙ্গে ওর পঞ্চাশতম বিবাহবার্ষিকীর আর মাত্র কয়েকদিন বাকী - প্রথামতো এটা উদযাপন করার দিন – তার মানে ভালবাসার অভিনয় ক’রতে হবে কেবল লোক দেখানোর জন্যে।
নিঃসীম নির্বিবাহ জীবনের স্বপ্নে
মানব জীবনের পরম সত্য – অদ্বিতীয়ত্ব । আমি গোটা জগতের নাগরিক হ’তে চাই, চাই সকলের আপন একটি জগৎ গড়ে তুলতে – যে জগৎ একটি পরিবার, একটি প্রতিষ্ঠ
নিঃসীম নির্বিবাহ জীবনের স্বপ্নে
মানব জীবনের পরম সত্য – অদ্বিতীয়ত্ব । আমি গোটা জগতের নাগরিক হ’তে চাই, চাই সকলের আপন একটি জগৎ গড়ে তুলতে – যে জগৎ একটি পরিবার, একটি প্রতিষ্ঠান।
এই বইটির কবিতা আর কাহনীগুলি ১৯৫০এর কুসংস্কারের ঐতিহ্য ফেলে যুগোপযোগী ২০৫০ সালের জীবনধারার জন্য ডাক দিয়েছে। আমার লেখা ‘No Boundaries’ by P G Cartwright বইটিও পড়তে অনুরোধ ক’রবো।
নিঃসীম আকাশের নীচে সীমান্তবিহীন এই জগতের মানুষ যে কোনো দেশে বসবাস ক’রতে পারবে, জীবিকা নির্বাহ ক’রতে পারবে। এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিটের প্রয়োজন হবে না।
সীমান্তবিহীন জগতের স্বপ্নের বীজ এসেছে আমার দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞতা থেকে। ভারতবর্ষের গরীব সদগোপ (চাষার জাত) ঘরে জন্মে ইঞ্জিনীয়ার হ’য়েছি, পারদর্শী প্রোগ্রামার হ’য়ে এসেছি অস্ট্রেলিয়ায় ১৯৮৪ সালে, দেখেছি অনুন্নত ও সমুন্নত দেশের জীবনযাত্রার তফাৎ। পরে ২০০২ থেকে শুরু হ’য়েছে, এক আমেরিকান কোম্পানীর কর্ম্মচারী হ’য়ে, দেশ-বিদেশের বড় বড় ব্যাঙ্কে কোর ব্যাঙ্কিং সুরু করার কাজ। ২০০২এর জানুয়ারীতে প্রথম কাজটি ছিল পোল্যাণ্ডের ওয়ারশ-তে, অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে আমার পোল্যাণ্ডে কাজ করার জন্য ভিসা নিতে হ’ল, অথচ আমার সহকর্মী আমেরিকান নাগরিকের ভিসার প্রয়োজন হ’লো না। অথচ পোল্যাণ্ডের নাগরিকের ভিসা লাগতো আমেরিকায় গিয়ে কাজ করার জন্যে, পোল্যাণ্ড আর আমেরিকার মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা নেই ভিসার সমান অধিকারের ব্যাপারে ।পরে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলির মধ্যে যাওয়া-আসার জন্য ভিসার দরকার রইলো না। শুরু হ’লো আমার স্বপ্নের - কবে হবে পুরো পৃথিবীর দেশগুলির মধ্যে এই ধরণের সমঝোতা।
নির্বিবাহ জগৎ হোক একটি বিরাট পরিবার, যেখানে বিবাহিতেরা অবিবাহিতদের সঙ্গে সমান সুযোগ সুবিধা পাবে । স্বামী বা স্ত্রীকে প্রবঞ্চিত ক’রে ব্যক্তিগত লাভ করার সুযোগ থাকবে না।
ব
নির্বিবাহ জগৎ হোক একটি বিরাট পরিবার, যেখানে বিবাহিতেরা অবিবাহিতদের সঙ্গে সমান সুযোগ সুবিধা পাবে । স্বামী বা স্ত্রীকে প্রবঞ্চিত ক’রে ব্যক্তিগত লাভ করার সুযোগ থাকবে না।
বিবাহের প্রয়োজন ২০৫০-এর পরে একেবারেই অন্তর্হিত হবে। গর্ভনিরোধক পিলের উদ্ভাবক Carl Djerassi-এর জীবনদর্শন অনুযায়ী, ২০৫০ সালের পরে নারী আর পুরুষে মিলে সেক্স বা রতিক্রিয়া করবে শুধু নির্ম্মল মজার জন্যে, সন্তানকে জন্ম দেওয়ার আশা বা দুশ্চিন্তা কিছুই থাকবে না। গর্ভনিরোধক পিলের আর দরকার থাকবে না, কারণ নারীরা তাদের ডিম অর্থাৎ eggs আর পুরুষেরা তাদের শুক্রাণু বা শুক্রকীট অর্থাৎ sperm ঠাণ্ডাঘরে জমিয়ে রেখে নির্বীজন করবে নিজেদের, অর্থাৎ বন্ধ্যা হয়ে যাবে। কৃত্রিম ডিমও তৈরী হবে হয়তো ২০৩০এর আগেই। ভ্রূণহত্যার আর প্রয়োজন হবে না, কারণ বিনা পরিকল্পনায় সন্তানের ভ্রূণ সৃষ্টি করবে না কেউ। সন্তান উৎপাদন ক’রতে সক্ষম অনেক নারী তাদের তরুণীজীবনের ডিম [eggs] ঠাণ্ডাঘরে জমিয়ে রাখবে একটু বড় বয়সে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে IVF-এর মাধ্যমে অন্তঃসত্ত্বা হবার জন্যে। বিশ বছরের তরুণীরা এই পন্থা নিয়ে নিশ্চিন্ত হবে যে বয়স হ’য়ে ডিম নিঃশেষ হবার আগে, তাদের জীবনসঙ্গী বেছে নিতে হবে না; কর্ম্মজীবনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার পরে সন্তানকে জন্ম দিয়ে লালনপালন করার সুযোগ পাবে। সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য নারী ও পুরুষের রতিক্রিয়ার প্রয়োজন হবে না।
অবাধ প্রেমের অনায়াস দিগ্বিজয়,
তবু অবাঞ্ছিত সন্তানের জন্ম নয়;
স্বামী-স্ত্রী ক্রীতদাস-ক্রীতদাসী নয়; হোক পরাধীনতার অন্ত।
বেঁচে থাক নিরন্তর বসন্ত,
শুধু আজ নয়, কালও,
অবাধ প্রেমের অনায়াস দিগ্বিজয়,
তবু অবাঞ্ছিত সন্তানের জন্ম নয়;
স্বামী-স্ত্রী ক্রীতদাস-ক্রীতদাসী নয়; হোক পরাধীনতার অন্ত।
বেঁচে থাক নিরন্তর বসন্ত,
শুধু আজ নয়, কালও, কাল অনন্ত;
শুধু হেথা নয়, সর্ব্বথা – জুড়ে দিক-দিগন্ত;
শুধু আমি নয়, নয় শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা, শান্ত-অশান্ত, দুরন্ত;
নয় শুধু হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ বা খ্রীষ্টান, ধনবান্ বা সর্ব্বস্বান্ত;
নেই জরা, পাতা-ঝরা, শিশু-যুবা-বুড়োরা সব হতচ্ছাড়া – অক্লান্ত।
গ্রীষ্ম না রবে ভয়ঙ্কর দুর্দান্ত,
না উঠিবে জ্বলে, ঘোর দাবানলে বিশ্বের চারি প্রান্ত;
গ্রীষ্মের উত্তাপে, জল হবে পরিণত বাস্পে, চালাবে ইঞ্জিন অবিশ্রান্ত;
উত্তাপ পরাজিত, বিদ্যুৎশক্তিতে রূপায়িত, ব্যাটারীতে সঞ্চিত, শক্তিমন্ত;
সোলার প্যানেলে সারাদিন, তাপ হবে বিদ্যুতে বিলীন; হবেনা প্রাণান্ত।
গ্রীষ্মের দাবদাহে, যন্ত্রণা না রহে, ফসলভরা চাষীগৃহে; নিরন্তর বসন্ত।
বর্ষার বন্যায় হবে না দেশ ভাসন্ত,
প্লাবনে হবে না ফসলের অন্ত, জলে ডুবে প্রাণান্ত;
রুখিবো নদীর জল বাঁধ বেঁধে; শুষ্ক গ্রীষ্মে হবে তৃষ্ণার অন্ত।
জলের স্রোতে টারবাইন ঘুরন্ত; ব্যাটারীতে বিদ্যুতের সঞ্চয় প্রাণবন্ত।
বিজ্ঞানীদের পর্য্যবেক্ষণ, জলবায়ু ভবিষ্য-দর্শন ক’রবে সংশয়ের অন্ত;
বাঁধবো বাঁধ কোথায়, টারবাইন-প্যানেল কোথায়, হ’তে হবে অভ্রান্ত।
যবে প্রকৃতির বর্ষা-গ্রীষ্ম পৃথ্বীবাসীকে ক’রবে না নিঃস্ব, বিজ্ঞানীরা সেইদিন হবে শান্ত।
যা কিছু প্রকৃতির দান, আকাশ, আলোক, তনু, মন, প্রাণ দেবে পৃথিবীর প্রেমে বসন্ত।
নরনারীর সারাজীবন বসন্ত, নির্বিবাহ প্রেম নির্ভয় অফুরন্ত; পরিকল্পনামতো আইভিএফে সন্তান জীবন্ত।
গ্রীষ্ম না রবে ভয়ঙ্কর দুর্দান্ত, বর্ষার বন্যায় হবে না দেশ ভাসন্ত, বছরের পর বছর ধ’রে নিরন্তর বসন্ত।।
গোয়েন্দা পিনাকীর এই ভেবে ভালো লাগলো যে অপরাধের অনুসন্ধান এ পরিবারের সকলের সুখী হওয়ার সম্মান নিয়ে এসেছে। এক সুযোগে চামেলী আর প্রণতিকে একসঙ্গে পেয়ে ওদের পিছন ফিরে দাঁড়াতে ব’ল
গোয়েন্দা পিনাকীর এই ভেবে ভালো লাগলো যে অপরাধের অনুসন্ধান এ পরিবারের সকলের সুখী হওয়ার সম্মান নিয়ে এসেছে। এক সুযোগে চামেলী আর প্রণতিকে একসঙ্গে পেয়ে ওদের পিছন ফিরে দাঁড়াতে ব’ললো পিনাকী – দুজনের পিঠেই আজানুলম্বিত নীল চুলের বাহার; কে কোনজন তা বোঝা দুঃসাধ্য। ওদের মধ্যে একজন অতর্কিতে পিনাকীর হাত ধরে ব’ললো, ‘বাবা-মা একমাসের জন্যে কাশ্মীর বেড়াতে যাচ্ছে। প্লীজ কিছুদিন আমাদের বাড়ীতে কাটাও; আমরা গোয়েন্দাগিরি ক’রবো পরস্পরের উপর।‘
পিনাকী ভাবলো, প্রণতিকে কাছে পেয়ে সুখী হ’তে হ’লে শুধু গোয়েন্দাগিরি ক’রলে চলবে না। ভালবাসতে হ’লে চাই প্রণতির উপর অন্ধ বিশ্বাস; বিয়ের সংস্কারগুলো বড় ক’রে দেখলে পিনাকী কোনদিন সুখী হ’তে পারবে না। পিনাকী জানে, প্রণতির ছোটবেলায় হয়তো পিনাকীই ছিল একমাত্র পুরুষ – ভালবাসার মানুষ; কিন্তু এখন স্বপনও অনেকটা জায়গা ক’রে নিয়েছে প্রণতির দেহে, আর মনে। হয়তো স্বপন বা পিনাকী কাউকেই বাদ দেওয়া যাবে না প্রণতির জীবন থেকে। পিনাকী ভুলতে পারেনি কিভাবে প্রণতি এসেছিল ওর জীবনে।
***
চার জোড়া চোখ প্রণতির মুখ চোখের অভিব্যাক্তি খুঁটিয়ে দেখলো ও ঘরের চারপাশে খুঁজলো। সেখানে কিছুই নেই যার থেকে ধারণা করা যায় যে পিনাকী সেখানে ছিল। আশাহত হয়ে এই ইন্সপেক্টরেরা চলে যাবার উপক্রম ক’রছে এই সময়ে একটা শব্দ পাওয়া গেলো। কেউ একজন এই বাড়ির ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে সামনের রাস্তায় পড়েছে। প্রণতি বুঝতে পারলো যে, সে পিনাকী। প্রণতি কিছু করার আগেই ওই ইন্সপেক্টরদের দুজন দৌড়ে বার হয়ে গুলি ছুঁড়লো। একটা গুলি পিনাকীর কানের পাশ দিয়ে বার হয়ে গেলো, আর একটা গুলি ডানদিকের ঘাড়ের ঠিক তলায় লাগলো, খুব রক্ত বেরোতে লাগলো। দুজন ইন্সপ্পেক্টর ওকে ধ’রে ফেললো ও টেনে নিজেদের পুলিসভ্যানের মধ্যে ঢুকিয়ে নিলো।
নয় এ-বই চট্ জলদি পড়ে ফেলার, বিভিন্ন গণ্ডির মধ্যে মানুষ কি ক’রতে বাধ্য হয় এ-বইতে তা অনুভব করার। বইটি এক কথায় অনন্য, কোনো এক ধরণে ফেলা যায় না,- কাহিনী, দর্শন, সমাজতত্ত্ব, বৈজ্ঞানিক অ
নয় এ-বই চট্ জলদি পড়ে ফেলার, বিভিন্ন গণ্ডির মধ্যে মানুষ কি ক’রতে বাধ্য হয় এ-বইতে তা অনুভব করার। বইটি এক কথায় অনন্য, কোনো এক ধরণে ফেলা যায় না,- কাহিনী, দর্শন, সমাজতত্ত্ব, বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান সব একাকার হ’য়েছে। কত রকম সীমারেখা মানুষের জীবনে,- ধনী-দরিদ্র, নারী-পুরুষ, দেশি-বিদেশি, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, জাত-পাত, তারুণ্য-বার্ধক্য...। বইটির ঘটনা-সম্ভার অনবদ্য ও যথার্থই আন্তর্জাতিক। এই বিশাল ও বিস্তৃত প্রেক্ষাপটে লেখা গ্রন্থটি লেখকের জ্ঞান, স্বতন্ত্র চিন্তা, মেধা সম্পর্কে সম্ভ্রম ও শ্রদ্ধার উদ্রেক ক’রবে পাঠকমনে।
প্রথম পরিচ্ছেদ পাঠকের প্রবেশের সিংহদরজা, সেখানে মেয়ে লুটে আনার গল্পে আছে কিছু তথাকথিত অশ্লীল দৃশ্য, এগুলির যৌন সংবেদন যেন পাঠককে বিভ্রান্ত না ক’রে; মানুষকে জিনিস হিসেবে দেখার দৃষ্টান্তগুলো থেকেই যাত্রা শুরু ক’রতে হবে নিঃসীম নির্বিবাহ জগতের সন্ধানে, যে জগতে ঈশ্বর বিদ্যমান প্রতিটি মানুষের মধ্যে, সমস্ত বিভেদ নির্বিবেশে।
কিরীটি আন্তরিকভাবে এই বইয়ের প্রতিটি মানুষের মধ্যে একাত্মাকে খুঁজেছে। তারা সবাই খুব সাধারণ নারী এবং পুরুষ; তাদের কেউ এই পৃথিবীটাকে একটুও বদলাতে চায় নি। তারা সবাই বসবাস ক’রেছে বিশ্বের আইনকানুন মেনে, দেশের সুযোগ এবং বিপদ-আশঙ্কার দিকে চোখ রেখে। তারা সবাই চেয়েছিল কেউ তাদের ভালোবাসুক; অন্ততঃ কয়েকজনের ভালোবাসা না পেলে সাধারণ জগতে মানুষ বাঁচতে পারে না; প্রেম ছাড়া বাঁচার কোন অর্থ থাকে না। আবার অন্য কোনো জগতে প্রেম একেবারে অপরিহার্য নয়, জীবনে আরও অনেক প্রলোভন আছে দুর্লভ ভালোবাসার পরিবর্তে। মানুষের জন্ম ভালোবাসা পাওয়ার জন্যে, দেওয়ার জন্যে, আর জিনিষের সৃষ্টি ব্যবহার করার জন্যে; কিন্তু প্রায়শঃই মানুষ জিনিসকে ভালোবাসে এবং মানুষকে ব্যবহার ক’রে। আসুন জীবন দেখি কিরীটির চোখ দিয়ে।
নিঃসীম নির্বিবাহ জীবনের স্বপ্নে নিয়ে লেখা এই বইটি।
মানব জীবনের পরম সত্য – অদ্বিতীয়ত্ব । আমি গোটা জগতের নাগরিক হ’তে চাই, চাই সকলের আপন একটি জগৎ গড়ে তুলতে – যে জগৎ একটি পরিবার, এ
নিঃসীম নির্বিবাহ জীবনের স্বপ্নে নিয়ে লেখা এই বইটি।
মানব জীবনের পরম সত্য – অদ্বিতীয়ত্ব । আমি গোটা জগতের নাগরিক হ’তে চাই, চাই সকলের আপন একটি জগৎ গড়ে তুলতে – যে জগৎ একটি পরিবার, একটি প্রতিষ্ঠান।
নিঃসীম আকাশের নীচে সীমান্তবিহীন এই জগতের মানুষ যে কোনো দেশে বসবাস ক’রতে পারবে, জীবিকা নির্বাহ ক’রতে পারবে। এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিটের প্রয়োজন হবে না।
নির্বিবাহ জগৎ হোক একটি বিরাট পরিবার, যেখানে বিবাহিতেরা অবিবাহিতদের সঙ্গে সমান সুযোগ সুবিধা পাবে । স্বামী বা স্ত্রীকে প্রবঞ্চিত ক’রে ব্যক্তিগত লাভ করার সুযোগ থাকবে না।
বিবাহের প্রয়োজন ২০৫০-এর পরে একেবারেই অন্তর্হিত হবে। গর্ভনিরোধক পিলের উদ্ভাবক Carl Djerassi-এর জীবনদর্শন অনুযায়ী, ২০৫০ সালের পরে নারী আর পুরুষে মিলে সেক্স বা রতিক্রিয়া করবে শুধু নির্ম্মল মজার জন্যে, সন্তানকে জন্ম দেওয়ার আশা বা দুশ্চিন্তা কিছুই থাকবে না। গর্ভনিরোধক পিলের আর দরকার থাকবেনা, কারণ নারীরা তাদের ডিম অর্থাৎ eggs আর পুরুষেরা তাদের শুক্রাণু বা শুক্রকীট অর্থাৎ sperm ঠাণ্ডাঘরে জমিয়ে রেখে নির্বীজন করবে নিজেদের, অর্থাৎ বন্ধ্যা হয়ে যাবে। কৃত্রিম ডিমও তৈরী হবে হয়তো ২০৩০এর আগেই। Carl Djerassi-এর ভবিষ্যদ্বাণী শোনার অনেক বছর আগেই নির্বিবাহ সমাজ গড়ার তাগিদ এসেছিল এক বিবাহিতা মহিলার বিশ্বাসঘাতকতার উদাহরণ দেখে; মনে হ’য়েছিল প্রতারণা ও ব্যভিচার ক’রে, নিরুপায় বিবাহিত পার্টনারের সময় ও সম্পত্তি লুটে নেওয়ার উদাহরণ বেড়েই চলেছে, অথচ চোখে পড়ছে না ।
প্রেমের ব্যাকরণে বাক্যের বদলে চাই কবিতা।
‘বিয়ে’ মানেই দখল,
আর একজনের পুরো দখল দেহ মন সময় ও সম্পদে,
অথচ প্রতিশ্রতি নেই পাশে থাকার, অসুখে বা আপদে;
বিচ্ছেদের উপায় নেই অত্যাচার ব্যভিচারের অপরাধে।
Kireeti wished to escape before the 50th anniversary of his marriage with Subhadra. Subhadra wasn’t a loving trustworthy wife; she enjoyed extramarital sex. Kireeti couldn’t divorce her, because firstly Subhadra insisted on remaining married, secondly, Kireeti abhorred was Read More...
Are you sure you want to close this?
You might lose all unsaved changes.
The items in your Cart will be deleted, click ok to proceed.