কালভৈরবের মন্দিরে যে দেবী অধিষ্ঠিত ছিলেন তার নাম বজ্র বাণী। মহাকাল দর্শন সেই দেবীর চার হাত ; উপরের দুই হাতে মুঠো করার ভঙ্গিতে প্রকাণ্ড খাড়া এবং আর এক হাতে রক্ত পান করার ভঙ্গিতে স্থিত সদ্যোজাত শিশুর বুকের পাঁজরের তৈরি কমন্ডলু। নিজের হাত দুটির একটি রহস্যময় ভাবে আশীর্বাদের ভঙ্গিতে উত্থিত, যেন মা বজ্রবাণী তার সাধকের প্রতি পূর্ণ নিষ্ঠাভরে আশীর্বাদ করছেন। অপর হাতটি তে উষ্ণ রক্তের মানব হৃদপিণ্ড। দেবীর নগ্ন শরীরের কোথাও বস্ত্রের লেশমাত্র নেই। আশ্চর্যজনকভাবে দেবীর ঘাড় থেকে পদযুগল পর্যন্ত ঘন কালো লোমে ঢাকা। মাথায় দিগন্ত বিস্তৃত মত্ত চন্ডালিনীর মতো ঘন কালো চুল। দেবীর রক্তরঞ্জিত চোখ থেকে এক অদ্ভুত রহস্যজনক ভীতি দশ দিকে ছড়িয়ে পড়ছে , পশ্চিমা দেশের রক্তচোষা ভ্যাম্পায়ারদের মত দেবীর দাঁত তার বুক পর্যন্ত বিস্তৃত। দেবীর গলায় রয়েছে একশত ঊনিশ টি মানব কঙ্কালের মালা। পাথর দিয়ে তৈরি কোন মূর্তির চোখে মুখে দেহে এত পরিমান বীভৎসতা তথা ভয় যে সৃষ্টি করা সম্ভব, তা দেবীকে স্বচক্ষে না দেখলে বিশ্বাসই করা সম্ভব নয়। বজ্র মহাবিদ্যার পঁচিশ তম অধ্যায় এ এই মহামায়া দেবীর কথা উল্লেখিত আছে এবং এনার বাহন স্বয়ং শয়তান।