দুই বন্ধু - অরিন্দম ও রূপঙ্কর। একই এপার্টমেন্টে থাকে। একই স্কুলে এবং একই শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। দুজন দুজনেরই অন্তরঙ্গ বন্ধু, হরিহর আত্মা বলা যেতে পারে। অরিন্দম যেখানে নির্ভীক এবং ডাকা-বুকো ছেলে, রূপঙ্কর তার ঠিক উল্টো লাজুক এবং অন্তর্মুখী। ওদের বন্ধুত্বের সম্পর্কটা কখন প্রেমের ভালোবাসায় পরিণত হয়ে গেল, ওরা নিজেরাও টের পেল না। ভিতর-ভিতর ওদের সম্পর্কটা গাঢ় হলেও বাইরে কিছু টের পাওয়া গেলো না। একসাথে স্কুলে যাওয়া, টিউশন, মাঠে খেলাধুলো সব কিছুই ছিল স্বাভাবিক আর সব সহপাঠী ও বন্ধুদেরকে সাথে নিয়ে।
গল্পে একটি মোড় আছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে মৃত্যুর অপেক্ষায় সেই বয়স্ক মানুষটি কে? সে কি কোনওদিন মুক্তি পাবে, না পরিত্যক্ত বাড়িটি তার সমাধিস্থলে পরিণত হবে? প্রবীণ ব্যক্তি এবং এই দুটি ছেলেদের মধ্যে কোন সম্পর্ক লুকিয়ে আছে?
এদের ভালোবাসার নতুন রূপটি কি প্রভাব বিস্তার করবে আগে গিয়ে? ওদের বাবা-মাই বা কী ভাবে নেবে, যদি জানতে পারে? আর সমাজ, সেও কী বুঝে উঠতে পেরেছে ভালোবাসার এই দিকটা কে?
খুঁজে বের করতে এই বইটি পড়ুন|