You cannot edit this Postr after publishing. Are you sure you want to Publish?
Experience reading like never before
Sign in to continue reading.
Discover and read thousands of books from independent authors across India
Visit the bookstore"It was a wonderful experience interacting with you and appreciate the way you have planned and executed the whole publication process within the agreed timelines.”
Subrat SaurabhAuthor of Kuch Woh Palইসলামে গোঁড়ামি ও উগ্রপন্থার কোন স্থান নেই। ইসলামের বিধান নির্ধারিত হয় কুরআন ও সুন্নাহর দ্বারা। কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর মনগড়া যুক্তি বা খেয়ালি সিদ্ধান্তর দ্বারা ইসলামের বিধান নির্ধারিত হয় না। মুসলিম উম্মাহর ঐক্যমতে, হযরত রাসূলে আকরাম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রওজা শরিফ জিয়ারত করা বরকতময় ইবাদত। ইহা সাহাবায়ে কেরাম ও আহলে বাইত সহ সকল মাহাত্মাগনের সুন্নাত । রাসূলে আকরাম স্বয়ং বলেছেন যে আঁমার ঘর ও মিম্বরের মধ্যবর্তী স্থানটি জান্নাতের একটি টুকরা (রিয়াজুল জান্নাহ) এবং আঁমার মিম্বরটি আঁমার হাউজের উপর স্থাপিত”।[সহীহ বুখারী- হাদীস নং ১১৩৮]। কিন্তু একটি উগ্রপন্থী সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী মাজার জিয়ারত করাকে গুনাহের কাজ ও মাজার-পূজা বলে ইসলামের অবমাননা করছে। তাদের মতে কবর বা মাজার ধ্বংস করা সওয়াবের কাজ । তালিবান, আল কায়েদা ইত্যাদি মূর্খ সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি এই ধৃষ্টতা প্রায়ই দেখায়। কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে ইসলামিক স্কলার শাইখ আবুল কালাম আযাদ সুস্পষ্টভাবে দেখিয়েছেন যে তাদের এই অবস্থান কেবল অজ্ঞতা, বিদয়াতে সায়্যিয়াহ্ ও কুফরই নয়, বরং এই গোষ্ঠীগুলি ইসলাম তথা মানবতার সবচেয়ে বড় শত্রু।
মাওলানা মুহাম্মাদ এ.কে. আযাদ আল কাদেরী
লেখক পরিচিতি
জন্ম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ জেলার বাবলা গ্রামে এক সাদামাটা সুন্নী মুসলিম পরিবারে। ১৯৭৩ সালের ২৬শে ডিসেম্বার। নর্থ বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজী সাহিত্যে পোস্ট গ্রাজুয়েট। পরবর্তীতে শাইখ ডা শাকিল আসবির দারুল উলুম আল জামেয়াতুল আসবিয়া থেকে মুফতী কোর্স ।
জীবনের প্রারম্ভে স্টুডেন্ট লাইফে বস্তুবাদি শিক্ষায় লালিত হয়েছেন। বঞ্চিত থেকেছেন ইসলামিক শিক্ষা থেকে। স্বভাবতই কলেজ-ইউনিভার্সিটি জীবনে মার্ক্সবাদ, নাস্তিকতাবাদ ও ওহাবী মতবাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন তীব্রভাবে। কিন্তু ইমাম গাযযালি, মুজাদ্দিদ আলফেসানি, শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভী, শাইখ সিদ্দিক গুমুস, প্রফেসর মাসউদ আহমাদ প্রমুখ মনিষীগণের গ্রন্থাদি জীবনকে বদলিয়ে দেয়। অধ্যায়ন আরম্ভ করেন ইসলামিক থিওলজি নিয়ে। বুঝতে পারলেন, মুসলিম উম্মাহর বর্তমান সংকটপূর্ণ অবস্থার জন্য তিনটি কারণ দায়ী। এক, শিক্ষায় পশ্চাদপদতা। দুই, আল্লাহ ও আল্লাহর রসূলের বিধান থেকে মুখ সরিয়ে নেওয়া। তিন, ইংরেজ-সৃস্ট ও সউদী মদতপুস্ট সন্ত্রাসী ওহাবী ফির্কার অন্তর্ঘাত।
আরও বুঝলেন যে, তার মত লক্ষ লক্ষ জেনারাল শিক্ষিত ভাইবোন রয়েছেন। ইসলামিক থিওলজি সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞ্যানার্জনের সুযোগ না পাওয়ায় তারা কেউ নাস্তিকতার দিকে ঘুঁকছেন, কেউ ওহাবী মতাদর্শের দিকে। কেউ থাকছেন সম্পুর্ন উদাসীন। শুরু করলেন কাজ। গ্রহন করলেন ড্রিম প্রোজেক্ট। ২০২৫ সালের মধ্যে ইন শা আল্লাহ ইসলামের মৌলিক বিষয়াদি সম্পর্কে কম-বেশি দেড়শ খানা বই উপহার দিবেন তরুণ প্রজন্মকে। শুরু হলো পথ চলা...।
The items in your Cart will be deleted, click ok to proceed.