You cannot edit this Postr after publishing. Are you sure you want to Publish?
Experience reading like never before
Sign in to continue reading.
Discover and read thousands of books from independent authors across India
Visit the bookstore"It was a wonderful experience interacting with you and appreciate the way you have planned and executed the whole publication process within the agreed timelines.”
Subrat SaurabhAuthor of Kuch Woh Palকাহিনী- কণিকা:
প্রেম পত্র পড়তে সবাই ভালোবাসে,— বিশেষত সে চিঠি যদি আর কারো হয়! পত্র মর্মরে সংকলিত আছে এ’রকম অন্তত একশোর বেশি চিঠি। চিঠিগুলো লিখেছিলেন এমন দুজন যাঁদের কখনো দেখা হবারই কথা ছিল না। একজন শৈলজা,— জন্ম ‘শেষের কবিতা’র শিলং পাহাড়ের কোলে,— আর অন্যজন আগাগোড়াই সমতলের মানুষ। এ’ দূরত্ব ছিল ওঁদের সামাজিক অবস্থানেও। এ’ যেন রাজকন্যা আর রাখালের গল্প। অনেক সমাপতনের চক্রে শেষ পর্যন্ত দেখা হ’য়েই গেল দুজনের। ভালোবাসা সম্বন্ধে বলতেই হয় ‘ দূরকে করিলে নিকট বন্ধু’। এখানেও হলো ঠিক তাই। একসংগে বিশ্ববিদ্যালীয় শিক্ষা নিতে নিতে হঠাৎ মন দুলে ওঠে ‘কার চোখের চাওয়ার হাওয়ায়’। সেই হাওয়ায় দুটি বুকে ছড়িয়ে পড়ে প্রেমের বীজ। তার থেকে অংকুর, আর তারপর তো কথা বলতেই হয় দুজনের। কিন্তু বাধা বিঘ্ন যে প্রচুর! দুজনকে অনেক দূরে সরিয়ে দিল সেই বাধা বিঘ্নের ঝড়। একজন আবার পাহাড়ে, অন্যজন সমতলে। কী হবে তাহলে? ফোটার আগেই কি ঝরে যাবে ফুল? প্রেমের দেবতা মুচকি হেসে বললেন,’আমি আছি কী করতে তবে?’ তিনি দুই ভালোবাসার মানুষের কানে কানে যেন বললেন,’ রামচন্দ্রের বানর বাহিনী যেমন সমুদ্রের ওপর পাথর ফেলে সেতু বেঁধেছিল, তেমনি এই দূরত্ব ভাঙতে চিঠির সেতু বানা তোরা!’ ব্যস, দুটি মানুষ সেই যে পত্র বিনিময় শুরু করেছিল তা চলেছিল টানা তিন বছর। যক্ষের দূত ছিল মেঘ, ওদের দূত,— ভারতীয় ডাকবিভাগ! কী হলো তারপর? এখনই সব ব’লে দিলে তো ‘নটেগাছটি....!’ তার থেকে বরং এখানেই ফুরোলো আমার কথা!
পিনাকী প্রসাদ ধর
প্রধান পরিচয়,—শিক্ষক, অধ্যাপক ; সংগে ফলগুধারার মতো বয়ে চলেছে আরেকটি নিভৃত পরিচয়ও: সেটি একজন কবি, লেখক, অনুবাদকআর সম্পাদকের। পড়াশুনো মূলত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে,— তুলনামূলক সাহিত্য আর ইংরেজি সাহিত্যে এম,এ। সেখানেই লেখা , অনুবাদআর সম্পাদনার কাজে হাতে খড়ি। শিক্ষকতা আর অধ্যাপনা আমতা নিত্যা নন্দ স্কুলে, কাছাড়ের নবীন চন্দ্র কলেজে, শিলঙের সেইন্টঅ্যান্থনিজ কলেজে, কে,এল, বাজোরিয়া কলেজে, আর বিশ্ববিদ্যালয়পম ইগনু আর সিএফেলে। কলেজের ম্যাগাজিনগুলোকে দাঁড় করানোরসৌভাগ্য হয় পড়ানোর কাজের সংগে সংগে। এর মধ্যে ২০০২ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত ছিল মিশনারী কলেজে বিভাগীয় প্রধানের সম্মান ।২০০৬ সালেপ্রকাশিত হয় ইন্দিরা গোস্বামী মহোদয়ার আত্মজীবনীর বাংলা অনুবাদ; বইটি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগে আদর্শঅনুবাদের নমুনা হিসেবে বেশ কিছুদিন পঠিত হয়।অনুবাদটি প্রকাশের সময় কন্যা অমৃতার পাশে দাঁড়ানো মনে রাখার মতো।২০২০তে প্রথমইংরেজি উপন্যাস আর ২০২১-এ বার হতে চলেছে প্রথম বাংলা উপন্যাসটি। প্রকাশককে বিপুল ধন্যবাদ। এ’ বইটিতে সহধর্মিনী মণিমালার অংশলেখকের সমান বললে একটুও ভুল হবে না।মণিমালা নিজে একজন সফল অনুবাদক, আর সার্থক শিক্ষাবিদ। সত্তর ঊর্ধ্বে কাজ থেকে অবসরনেবার পর ওঁরা দুজন কলকাতায় নিজেদের বাড়িতে দিনযাপন করছেন। নিজেদের নানা স্বপ্নের পিছু ধাওয়া করতে করতে দুজনেরই মনে হচ্ছেযেন সত্যিকারের জীবনযাপন শুরু হলো এই শেষের সীমায় এসে।
The items in your Cart will be deleted, click ok to proceed.