You cannot edit this Postr after publishing. Are you sure you want to Publish?
Experience reading like never before
Sign in to continue reading.
Discover and read thousands of books from independent authors across India
Visit the bookstore"It was a wonderful experience interacting with you and appreciate the way you have planned and executed the whole publication process within the agreed timelines.”
Subrat SaurabhAuthor of Kuch Woh Palবেন্টোলা বীচে বেহুলা-লখিন্দর সমুদ্রের দিকে অনেকটা গিয়েছিল। দীপ্তি সাঁতার জানেনা ব’লে তীরে বসেছিল ওদের ফেরার অপেক্ষায়।
কুড়ি মিনিট পরে, বিধ্বস্ত লখিন্দর হাঁপাতে হাঁপাতে ফিরে এলো- ’বেহুলাকে বাঁচাতে পারিনি, নীচের ঢেউয়ের উল্টো টানে ওকে নিয়ে গেছে’।
লখিন্দর সিংহলী ভাষায় বোঝালো লাইফগার্ডদের,- কী ঘটেছে তার বর্ণনা দিয়ে। তারা প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চেষ্টা ক’রেও বেহুলার দেহের কোনো সন্ধান পেলো না।
লাইফগার্ডরা ব’ললো. ‘এই মামলায় একটি রিপোর্ট লিখতে হবে; নামগুলো বলুন’।
একটু দ্বিধা ক’রে, লখিন্দর ব’ললো, ’যাকে, আমরা সাগরে হারিয়েছি, তার নাম সানদুন। কলম্বো থেকে ক্যান্ডি যাওয়ার সময় ট্রেনে প্রথম দেখা ওর সাথে, তখন থেকে ও আত্মীয়ের মতো হ’য়ে গেছে। কিন্তু আমরা ওর ঠিকানা জানি না।’
তারপরে লখিন্দর নিজের পরিচয় দিয়েছিল, আর দীপ্তিকে ওর স্ত্রী বেহুলা হিসাবে পরিচয় দিয়েছিল।
লাইফগার্ডরা ওখান থেকে চলে গেল। দীপ্তি লখিন্দরকে জিজ্ঞেস ক’রলো, ’এর পরে কী হবে?’
লখিন্দর কেঁদে ব’লেছিল, ’জানিনা আমি! তুমি আমার বেহুলা হবে? বাঁচাবে আমাকে বিপত্নীক হওয়া থেকে?’
দীপ্তি কখনও ধারণাও ক’রতে পারেনি যে এই দুর্দান্ত শক্তিশালী খেলোয়াড়টির মন এত স্পর্শকাতর। লখিন্দরের ঠোঁটে চুমু খেলো দীপ্তি; তারপর পিছিয়ে এসে ব’ললো, ’এ আমরা কি ক’রছি, লখিন্দর? বেহুলা এইমাত্র চলে গেছে; কিংবা হয়তো এখনও যায়নি!’
লখিন্দর ব’ললো, ‘আর কোনো পাঁচিল নেই আমাদের দুজনের মধ্যে। বাড়ীতে একটা টেবিল-টেনিস বোর্ড লাগাবো; প্রতিদিন খেলবো দুজনে।’
লখিন্দর আর দীপ্তি ক্যান্ডিতে ফিরে এলো। শুরু হ’লো দীপ্তির নতুন জীবন। এখন থেকে সারা জীবন, ওকে বেঁচে থাকতে হবে শ্রীলঙ্কার নাগরিক হ’য়ে, লখিন্দরের প্রিয়তমা স্ত্রী বেহুলা হ’য়ে, যাতে লখিন্দরকে বিপত্নীক হ’তে না হয়।
ডাঃ পরমেশ ঘোষ
আগামী যুগের পৃথিবীর জন্য পরমেশের স্বপ্ন - সীমান্তহীন বিশ্বের বিবাহহীন সমাজ, যেখানে নাগরিকেরা শিখবে কিভাবে প্রকৃতির মতো সহজে কম শক্তির খরচে উৎপাদন করা বা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব; এতে জীবাশ্ম জ্বালানির অপচয় কমবে, জনসংখ্যা-বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রিত হবে, পৃথিবীর তাপমাত্রা বজায় থাকবে।
হায়ার সেকেণ্ডারী পরীক্ষায় প্রথম কুড়িজনের মধ্যে থাকায়, পরমেশ ন্যাশনাল স্কলারশিপ পেয়েছিল; এর পরে ইঞ্জিনীয়ারিংএর ফাইন্যালে দ্বিতীয় স্থান। আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় বেতার নাটক প্রতিযোগিতায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের টিমে অভিনয় ক’রে- একবার রানার্স আপ, আর একবার চ্যাম্পিয়ন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনীয়ারিং পত্রিকা ও সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদনা ক’ছে। ‘বসুমতী’র পূজা সংখ্যায় লিখেছে স্কুল জীবনে।
গ্র্যাজুয়েট ইঞ্জিনীয়ার হ’য়ে কর্মজীবনের শুরু হুগলী ডকে, হাওড়ার বার্ন কোম্পানীতে। এরপরে পরমেশ ছিল জামসেদপুরে ইণ্ডিয়ান টিউব কোম্পানীর ফোরম্যান, স্টীল টিউবের কোল্ড-ড্রয়িং-এর বিশেষজ্ঞ; এখানেই জেভিয়ার ইনস্টিটিউটে পার্ট-টাইম কোর্সে পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন বিজনেস ম্যানেজমেন্ট। পরমেশ পেয়েছিলো ইণ্ডিয়ান টিউব কোম্পানীকে কম্পিউটারাইজ করার দায়িত্ব; তারপরে হিন্দুস্থান অর্গ্যানিক কেমিক্যাল্সকে কম্পিউটারাইজ করার ভূমিকায়। এর পরে পরমেশ কাজ করে কম্পিউটার-কনসাল্টেন্সী প্রতিষ্ঠান- কম্পিউট্রনিক্স ইণ্ডিয়া, হিন্দুস্তান কম্পিউটার্স লিমিটেড আর টাটা কন্সাল্টেন্সী সার্ভিসেসে।
কম্পিউটারে পারদর্শিতার জন্যে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হবার সুযোগ পায়। অস্ট্রেলিয়াতে পার্ট-টাইম পড়াশোনা চালিয়ে পরমেশ মাস্টার অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং মাস্টার অফ কম্পিউটিং সায়েন্সের ডিগ্রি অর্জন করে। এর পরে বহু কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনের সমন্বয়ের উপর গবেষণা ক’রে ও কম্পিউটিং সায়েন্সে পি-এইচ-ডি উপাধিতে ভূষিত হয়। ব্যাঙ্ক অ্যাপ্লিকেশনগুলোর সম্মিলিত ভাবে কাজ করার পদ্ধতির প্রবর্তন করেছিল পরমেশ; সম্ভবতঃ এই কাজই তাকে পরবর্তীকালে অনুপ্রাণিত ক’রেছিল সারা পৃথিবীর সবদেশ মিলিয়ে এক বিরাট দেশ – বিরাট পরিবারের স্থাপনায়।
পরমেশ দূরদর্শী দার্শনিক; স্বপ্ন দেখে কী ক’রে এই পৃথিবীর প্রতিটি নাগরিককে আরও বেশী সুযোগ দেওয়া যায় – পৃথিবীর যে কোনো দেশে থেকে ভালভাবে বাঁচার, এবং কাজ করার জন্যে। ও মূলতঃ জীবিকা নির্বাহের জন্য কোর ব্যাঙ্কিং আর্কিটেক্ট এবং বিজনেস ইন্টেলিজেন্স পরামর্শদাতা হিসাবে, পৃথিবীর নানা দেশে কাজ ক’রেছে; ওয়ারশ-এর ব্যাঙ্কে মাল্টি-চ্যানেল ব্যাঙ্কিং চালু করার জন্যে সাম্মানিক পুরস্কার পেয়েছে। ওয়ারশ-এর পরে পরমেশ ব্যাঙ্কক, ম্যানিলা, জাকার্ত্তা, গ্ল্যাসগো, কুয়ালালামপুরে দী্ঘদিনের প্রোজেক্টে কাজ ক’রেছে, ও বিভিন্ন দেশের মানুষের কথা শুনেছে, সহযোগিতা ক’রেছে।
পরমেশের সম্প্রতি প্রকাশিত গ্রন্থগুলি:-
Irreparable (May2022),
मिट गई सीमारेखा (May2022),<
The items in your Cart will be deleted, click ok to proceed.